Get up every morning and practice these top 10 morning rules for health, and enjoy a beautiful life. Everyone wants to live a good life. And if you follow these rules, you can get it.
প্রতিটি ব্যাক্তি চায় একটি সুন্দর জীবন, যেখানে তার সব চাওয়া পাওয়া গুলো সম্পন্ন হবে, এবং জীবন হবে মধুর, আসলে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলা কোনো কঠিন বিষয় নয়.
যদি আপনার চিন্তা ও পরিকল্পনা সঠিক হয় তাহলে আপনি আপনার নিজেকে একটি সুন্দর জীবন নিজেই দিতে পারবেন.
Contents List
Top 10 Morning Rules For Health In Bengali
আজ এখানে আপনি জানতে পারবেন সেরা ১০ টি নিয়ম যেগুলো প্রতিদিন সকালে নিজের জন্য প্রয়োগ করে একটি সুন্দর ও সুস্থ জীবন যাপনের অধিকারী হয়ে উঠতে পারবেন.
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জল পান করুন
আপনি কি জানেন প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পান করলে তা কতটা উপকারী? আমাদের মস্তিষ্কে ৭০% জল দ্বারা নির্মিত, যদি আমরা সারাদিনে অথবা সকালে উঠেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করি তাহলে এই জল আমাদের ব্রেন ও শরীর দুটোকেই অ্যানাজাইস করে,
সাধারণত একটানা সাত আট ঘণ্টা ঘুমানোর ফলে কোনো রকম জল আমাদের শরীরে মধ্যে প্রবেশ করে না, এর ফলে শরীর ও ব্রেন ডিহাইড্রেশন স্ট্রেটে চলে যায়,
আর HARVARD Medical School এর রিসার্চ বলে এই ডিহাইড্রেশন এর ফলে ব্রেনের সেলস গুলো ড্রায় হয়ে যায়,
একারণে সকালে মাথা ব্যাথা, দুর্বলতা, ও ফাস্ট্রেসেস অনুভব হতে থাকে, আর এগুলো কে দুর করার জন্য রোজ সকালে উঠেই এক এবং দুই গ্লাস পানীয় জল পান করা, এটা অভ্যাস করলে শরীরে মেটাবোলিজম এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে আর মেটাবোলিজম শরীরের টক্সিন মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে,
আপনি চাইলে কোনো তামার পাত্রে রাত্রিতে জল রেখে সেই জল সকালে সেবন করতে পারেন, আর এটা যদি সুটেবল বলে মনে না হয় তাহলে এমনি সাধারণ পাত্রে রাখা জল পান করতে পারেন,
Make your Bed
William H. McRaven তার একটি বক্তিতায় বলেছেন “আপনি যদি বিশ্ব পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনার বিছানা তৈরি করা দিয়ে শুরু করুন”
আবার David Goggins যিনি পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যাক্তিত্বের মধ্যে একজন, তিনিও তার Can’t Hurt Me বইয়ের মধ্যে বলেছেন এক ঘেয়েমি জীবনকে পরিবর্তন করে জীবনকে ইম্প্রুফ করার জন্য তিনিও রোজ সকালে ওঠে প্রথমে তার নিজের বিছানা টিকে ঠিক করতেন,
এটির পিছনে একটি সাইকোলজিক্যাল থিওরি আছে, আর এই উপায়টি মিলিটারিতেও করা হয়,
আসলে সকালে উঠে বিছানা গুছানো ও ঠিক করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের ব্রেনে একটি ডিসিপ্লিন বার্তা যায়, আর এর সাথে সাথে একটি কাজও সম্পন্ন করা হলো, যা সারাদিনের অন্যান্য কাজ গুলো গুছিয়ে করার সমতা যোগাবে,
Listen Music
আপনি কি জানেন? আপনি কি ধরনের গান পছন্দ করেন তার উপর আপনার ব্যাক্তিত্ব নির্ভর করে, কিছু গান আছে যেগুলো আপনার মনে সারাদিনের প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সকালে ওঠে আপনার পছন্দের কিছু সফ্ট মিউজিক গান শুনুন, এতে মনে বাড়তি খুশি, আনন্দ ও উচ্ছ্বাস পেতে সাহায্য করবে,
Read something Inspiring
যদি আপনি দিনের শুরুতেই ইনস্পরিং, মোটিভেটেড, আর পজিটিভ মাইন্ড সেট পেতে চান, তাহলে প্রতি সকালে কিছু সফল ব্যক্তিদের কথা বাণী ও জীবনী নিজের মনের মধ্যে প্রবেশ করান,
এমনটা নয় যে প্রতি সকালে ১ ঘণ্টা বই পড়তে হবে, প্রতি সকালে ১০ মিনিট এমন কিছু বই পড়ুন যেগুলো থেকে আপনি মোটিভেট হতে পারবেন,
এর জন্য আপনি Dr. Robert Schuller এর লেখা Life Changers: Dreamers and Doers বইটি পড়তে পারেন, এই বইয়ের বেশির ভাগ চ্যাপ্টার এক থেকে দুই পৃষ্ঠার মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে, ফলে প্রতিদিন অল্প সময়ের মধ্যেই পড়ে শেষ করতে পারবেন, এবং নতুন আবার একটি চ্যাপ্টার ও গল্পঃ পড়া শুরু করতে পারবেন,
Deep Breathing – গভীর নিশ্বাস প্রশ্বাস
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১০ মিনিট ধরে মেডিটেশন করা বা মস্তিষ্ককে স্থির রাখা অনেকের ক্ষেত্রে কষ্টকর বলে মনে হয়, কিন্তু এর পরিবর্তে deep Breathing করা অনেক সহজ একটি উপায়, সকালে দশ মিনিট যদি আপনি শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার প্রক্রিয়া ঠিক ভাবে চালিয়ে যান তাহলে এটি অনেক সহজ ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে,
যাদের মন সব সময় চঞ্চল ও অস্থির থাকে কোনো কাজের ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে মনোনিবেশ করতে না পারা কিংবা হটাৎ করে রাগের উদ্ভব হওয়া, এরকম বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য deep breathing এর প্রক্রিয়াটি কে ব্যবহার করলে মেন্টালি ও ফিজিক্যালি ক্ষেত্রে ভালো ফল মিলবে,
Move Your body
অর্থপেটিক সার্জেন্ট Glenn G. Shi বলেন অল্প কিছু সময় যদি বডি কে ঠিক মত স্টেচিং করা যায় তাহলে শরীরের মাংসপেশি বৃদ্ধি পাবে, শরীরে ব্যাথা অনুভব দূর হবে এর সাথে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক থাকবে ও ব্রেনে সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ হবে,
যদি আপনি দুর্বলতা অনুভব করেন ও শরীরের নানা স্থানে ব্যাথা অনুভব করেন তবে এই ১০ মিনিটের স্টেচিং এগুলো থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে, এবং সারাদিন ফ্লেক্সিবল ও এক্টিভ ফিল করবেন,
Take Sunlight
গাছ পালা পশু পাখি প্রভৃতির মতো মানুষের জন্যও সূর্যের আলো নেওয়া খুব উপকারী একটি উপায়,
কারণ সূর্যের আলো আমাদের মনকে আনন্দ দেয়ার সাথে সাথে ভিটামিন D প্রদান করে থাকে, এবং ব্রেনের মধ্যে সেরটোনিন ক্যামিক্যাল এর উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে,
এছাড়া সূর্যের কিরণ মস্তিষ্কের general cognitive function ( সাধারণ জ্ঞানীয় ফাংশন) কে ইতিবাচক দিকে ধাবিত করতে সাহায্য করে, ফলে মন স্টেবল ও ইমপ্রুভ হয়,
যদি দিনের পর দিন একি জায়গাই অনেক ক্ষণ থাকা হয়, অথবা বাইরে গিয়ে সূর্যের আলো কখনো গায়ে না লাগানো না হয় তাহলে দেখা যাবে, ঐ ব্যাক্তিটির Circadian rhythm ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে যায় ও ডিপ্রেসন, দুর্বলতা এবং বিষণ্ণতা তাকে ঘিরে ধরে,
আর এসব সমস্যা খুব সহজেই দুর করা সম্ভব শুধু সকালে ১০ মিনিট সূর্যের আলো নিয়ে, আর একটি সুন্দর জীবন উপহার হিসাবে পাবেন।
Take cold shower – ঠাণ্ডা জল স্নান
যদি সর্দি কাশি জনিত কোনো ব্যাধি যদি আপনার মধ্যে না থাকে তাহলে প্রতি সকালে ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করতে পারেন, এটি করলে মন পরিষ্কার, উৎফুল্ল ও তরতাজা করে, আর শরীরের এনার্জি লেভেলকেও বৃদ্ধি করে,
ঠাণ্ডা জল দিয়ে স্নান করার ফলে শরীরে white blood cells ( শ্বেত রক্ত কণিকা) এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, আর এর ফলে শরীর বিভিন্ন রোগ জীবাণু হতে দূরে থাকে,
তবে সকালে ঠাণ্ডা জল দিয়ে বেশিরভাগ লোক স্নান করতে পছন্দ করার প্রধান তিনটি কারণ হলো আনর্যাইস্ট বডি, মুড, ও মাইন্ড।
Plan your day – আপনার দিন পরিকল্পনা
আপনি যদি মনে করেন আপনি যেমনটি চাইছেন সেরকমই আপনার সারাটা দিন অতিবাহিত হোক, তাহলে প্রথমেই যেটি করতে হবে সেটি হলো সকালে ওঠার কিছু সময় পরেই সারা দিনে কি কি কাজ করবেন তার একটা তালিকা তৈরি করে নেয়া, এবং পরিকল্পনা মাফিক সে গুলোকে এক এক করে সম্পন্ন করা,
এর ফলে মস্তিষ্ককে একটি সঠিক চিন্তা ও পরিকল্পনার সৃষ্টি হয়, যার ফলে নিজের তৈরি করা প্রতিটি পরিকল্পনাকে খুব সহজেই সম্পন্ন করার ইচ্ছা ও মনোবল বৃদ্ধি পাবে নিজের মধ্যে,
Time for yourself – নিজের জন্য সময়
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অনেক মানুষই শুতে যাওয়ার আগে ও ঘুম থেকে ওঠার পর ফোনের ব্যবহার করে থাকে, যদি আপনি আপনার নিজের জীবনে অনেক কিছু করতে চান বা নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান তাহলে দিনের শুরুতে ঘুম থেকে ওঠার পর ও দিনের শেষে ঘুমাতে যাওয়ার আগের মুহূর্তে নিজের বিষয়ে নিজেকে সময় দিতে হবে,
প্রতিদিন ১০ মিনিট সময় বের করে নিজেকে নিয়ে সুস্থ ও স্থির মনে ভাবতে হবে, আজ সারাদিন কি করলাম বা আজ সরাদিন কি কি কাজ বাকি রয়ে গেলো, কি ভাবে অসম্পন্ন কাজ গুলোকে সম্পন্ন করা যাবে,
নিজের দুর্বলতা ও সফলতা সব কিছুকেই নিজের মধ্যে নিজেই আলোচনা করতে হবে, এর প্রতিটি সফল ব্যাক্তি তার নিজের মধ্যে এগুলোর বিচার বিবেচনা করে, প্রতি মুহূর্তে নিজেকে একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দার করায় যা সবাই করে উঠতে পারে না,
তাই পৃথিবীতে সফল ব্যক্তিদের থেকে অসফ ব্যাক্তির সংখ্যা বেশি, আর আপনার সফলতা চাবি আছে আপনার হাতেই, শুধু তলাটা ঠিক ভাবে খুলতে শিখতে হবে,