50 টির বেশি জীবনের কিছু বাস্তব কথা jiboner kichu bastob kotha, Some real things in life for success and happiness. Life Lessons in Bengali.
1. প্রত্যেক দরিদ্র পরিবারে এমন একজন সদস্যে জন্মগ্রহণ করে যে ঐ পরিবারকে গরীব থেকে ধনী পরিবারের স্থানান্তরিত করতে পারে, আপনার ফ্যামিলিতে হতে পারে আপনি সেই ব্যাক্তি,
2. ঘৃণা করা সেই সব মূর্খ লোকেদের কাজ, যে মনে করে সে যেনো সারা জীবন জীবিত অবস্থায় থাকবে,
3. আপনি কতোটা দুঃখী ও উদাসী এবং ভিতর থেকে কতোটা ভেঙে পড়েছেন এসব নিয়ে কারোর কিছুই যাবে আসবে না, আর এই কারণে আপনার একমাত্র কাজ হলো কোনো পরিস্থিতিতেই নিজের কাজ করা বন্ধ না করা,
4. জীবন দুই চাকা সাইকেলের মতো, ততক্ষণই জীবন চলবে যতক্ষণ আপনি চলতে থাকবেন,
5. কথা যতো কম বলবেন আপনার বলা কথার শব্দ ততো প্রভাবশালী হবে,
6. কারোর দয়া ও কৃপা দ্বারা আপনি বেশি দিন জীবন অতিবাহিত করতে পারবেনা না, তাই কারোর থেকে কোনো কিছু আশা ও ভরসা ছাড়াই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে চলতে শিখুন,
7. সব ক্ষেত্রে তর্ক করা কখনোই উচিৎ নয়, আপনি চাইলে এটিও বলতে পারেন যে আমি আপনার সাথে একমত নই,
8. প্রত্যাশা বা আশা আর ভরসার মধ্যে সব থেকে বড় পার্থক্য হলো প্রত্যাশা বা আশা ভঙ্গ হলে মুক্তিলাভ সম্ভব কিন্তু ভরসা নষ্ট হলে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না,
9. যখনি মনে হবে পরিশ্রমের অনুযায়ী পরিণাম মিলছে না, তখন একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যেটা আপনি করছেন তার মধ্যে এখনো হয়তো কিছু কমতি রয়ে গেছে,
10. বৃদ্ধ অবস্থায় একটি বিষয়ে শান্তি অবশ্যই পাওয়া যায় যে প্রথম বয়সে মরে যেতে হয়নি,
কখনো কখনো সব কিছু পেতে হলে, অনেক সব কিছুকেই হারিয়ে ফেলতে হয়,
11. আপনি আপনার চিন্তাকে যতটা বেশি প্রাধান্য দেন, অন্য কেউ আপনার চিন্তা গুলোকে ততোটা বেশি প্রাধান্য দেয়ানা, আর এই কারণেই আপনারও চিন্তাকে বেশি সিরিয়ালি নেওয়া উচিৎ নয়, কেননা বেশি চিন্তা ভাবনা করার খারাপ প্রভাব আপনার উপরেই পড়বে,
12. যদি আপনি এমন কোনো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, যেটার সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না, তাহলে সেই সমস্যাকেই কেন্দ্রবিন্দু করুন সমাধান মিলে যাবে,
13. তাচ্ছিল্য বা অবজ্ঞা করার জন্য জীবন খুবই ছোট, তাই ঘৃণা করার পরিবর্তে নিজের কাজে মনোযগী হওয়া অনেক বেশি কুশল,
14. প্রথম বারে যদি আপনি সফল না হন, তাহলে আপনার আর মহান ব্যক্তির মধ্যে এক বিরাট মিল রয়েছে, কেননা কোনো মহান ব্যাক্তিই প্রথম বারে সফল হতে পারেনি,
15. আপনি আজ যতো টাকাই উপার্জন করুন না কেন, বয়স্কালের জন্য পইসা রেখে দেওয়া দরকার,
16. লোক আপনার ব্যাপারে কি বলছে এটা যদি আপনি ভাবেন তাহলে আপনি তাদের কাজ করছেন, আর আপনি কাজটি কখন করবেন, এটা একবার ভেবে দেখুন,
17. যদি বৃদ্ধ না হয়ে ভবিষ্যতে বেঁচে থাকতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার থেকে বয়সে বড়ো ব্যাক্তির সাথে কিছু সময় ব্যয় করুন, কেননা অনুভব কেবল বয়সের সাথেই আসে,
18. নিজের খুশির মালিক কেবল নিজেই, নিজে খুশি না থাকতে শিখলে পৃথিবীর কোনো আনন্দই খুশি দিতে পারব না,
19. ক্ষমা করতে শিখুন, কেবল সে মাফ করতে জানে যে ঠিক হয়, আর কাউকে ক্ষমা না করার মানে নিজের সঠিকতা ভুল প্রমাণিত করা,
20. কখনো কোনো মূর্খ ব্যাক্তির ভুল ধরা উচিত নয়, কেননা মূর্খ ব্যাক্তির ভুল ধরলে সে আপনাকে অবজ্ঞা করবে, কিন্তু কোনো বুদ্ধিমান ও দক্ষ ব্যাক্তির ভুল ধরলে সে আপনাকে ধন্যবাদ দেবে,
21. অনেকবার এরকম মনে হয় যে আপনি হেরে যাচ্ছেন, বাস্তবে তখন কিন্তু এটা আপনি বুঝতে পারেন না, যে আপনি ঐ সময় সফলতার অনেক কাছে পৌঁছে গেছেন,
22. এই পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর জিনিস গুলো দেখা এবং ছোয়া যায়না, এগুলোকে কেবল অনুভব করা যায়,
23. কোনো মানুষের বাস্তবিক রূপটি যদি জানতে চান, তাহলে তাকে শুধু এটুকু বুঝিয়ে দিতে হবে যে আপনি সমস্যার মধ্যে আছেন,
24. কেউ একা থাকে আবার কেউ একা হয়ে যায়,
25. এই স্বার্থপর ভরা পৃথিবীতে চারজন লোক ততক্ষন আপনার সাথে চলবে যখন আপনি মারা যাবেন, আর আমরা এটা ভেবেই সারাজীবন কাটিয়ে দিই যদি এই কাজটা করি তাহলে চার লোক জন কি বলবে, আর যখন মৃত্যু আসে তখন বোঝা যায় সেই চার লোক জন কেবল দুএকটা ধার্মিক বাণী ছাড়া আর কিছুই বলে না,
26. সম্পর্ক বাঁচতে যদি নিজেকে নত হতে হয় তাহলে তাই করুন, কিন্তু বার বার কোনো ভুল না থাকার সত্বেও যদি নত হতে হয়, তাহলে মাথা সোজা করে মাথা তুলুন,
27. কঠিন সময় আসলে কখনোই ভেঙ্গে পড়বেন না, আর ভালো সময় আসলে কখনোই উৎসহপূর্ন হবেন না, কারণ দুটো সময়ই একসময় ফুরাবে,
28. একটা সময় ছিলো যখন রবিবারে অনেক খুশি পাওয়া যেতো, আর এখন রবিবারে ও ভেজাল ঢুকে গেছে,
29. আজকাল সম্পর্ক অনেক আছে কিন্তু তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সময় নেই কারোর কাছেই,
30. জীবনের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন শিক্ষা কখনো বই থেকে পাওয়া যায় না, আসল শিক্ষা তো জীবন নিজেই শেখায়,
31. কারোর সমস্যার সময় তাকে পরামর্শ দেয়ার থেকে তার সাথে থাকার প্রয়োজন বেশি, যদি তার সাথ দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে পরামর্শ দেয়ার কোনো যুক্তি হয় না,
32. কখনো যদি জীবনের কোনো লক্ষ্য স্থির করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে আপনি কেবল খুশি থাকতে শিখুন, দেখবেন জীবন সুন্দর,
33. ছোট বেলায় আপনার মৃত্যুর পর সবাই আপনাকে ভালোবাসবে, আর মাঝের সময় অর্থাৎ বেঁচে থাকতে শেখার পর থেকেই নিজেকে নিজেই ভালোবাসতে হবে,
34. কোনো কিছুর প্রতি দাম নয় মূল্য দিতে শিখুন,
35. আয়না হলো সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আপনি কাদলে সে কখনোই হাসে না,
36. জীবনকে সহজ করার জন্য কিছু করার প্রয়োজন নেই, জীবনকে মজবুত বানানোর জন্য কাজ করুন,
37. নীচে পড়ে যাওয়া কোনো অপমান জনক বিষয় নয়, অপমানিত তখন হতে হয় যখন নিচে পরে গিয়ে আর উঠতে পারার ক্ষমতা থাকে না,
38. যোদ্ধা কেবল জয়ী ব্যাক্তিই কেই বলেনা, যোদ্ধা হলো সেই জন যে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যায়,
39. যদি কেউ আপনাকে বার বার দুঃখ দেয় তাহলে তাকে ক্ষমা করতে শিখুন, দেখবেন আপনার দুঃখ কমে আসছে,
40. সমস্যা হলো পর্বতের মতো, যখন আপনি সব সমস্যার সমাধান করে পর্বতের শৃঙ্গে পৌঁছাতে পারবেন, দেখবেন পৃথিবীর সব কিছু সুন্দর,
41. প্রত্যেকদিন নিজেকে নিজে অনুভব করতে শেখান, যে জীবন কতোটা কঠিন তা নিয়ে কিছু যায় আসে না, বিষয় হলো আপনি নিজেকে কতোটা কঠিন করে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন,
42. কেউ যদি আপনার নিন্দা করে তাহলে আপনি অনেক ভাগ্যবান, কারন বিনামূল্যে নিজেকে আরো ভালো করে গড়ে তোলার সুযোগ মিলেছে,
43. আমাদের নিজস্ব পরিচয় কোথাও পাওয়া যায় না, এটা নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়,
44. যখন আপনি জানতে পারবেন আপনার জন্য একটা দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, তখনই বুঝবেন আপনার অজান্তে অনেক গুলো দরজা খুলে গেছে,
45. সবসময় সেই কাজ করুন যেটা ঠিক, সেটা কখনোই করবেন না যেটা সহজ, যদি আপনার কাছে সঠিক কাজ করার সময় না থাকে, তাহলে অন্তত সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন যেটা ভুল,
46. কারোর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার মনে ভুল কিছু নয়,
47. উদ্দেশ্যে নিয়ে মরার থেকে স্মৃতি রেখে যাওয়া ভালো,
48. জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে যদি আপনি ক্ষমা করা আর ক্ষমা চাওয়া শিখে নিতে পারেন,
49. স্বপ্ন সত্যি করার প্রথম ধাপ হলো স্বপ্ন দেখা,
50. কঠিন পরিস্তিতির পরিভাষা হলো, একদিন আপনি শক্ত হয়ে উঠবেন,
51. সম্পর্ক ভুল দিয়ে নয়, অবিশ্বাসের দ্বারা শেষ হয়,
52. হ্যাঁ আর না এই দুটো শব্দ যদি আপনি সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে জীবনে কখনো অনুশোচনা বা অনুতাপ করতে হবে না,
53. জীবনের বাস্তবিক অর্থ নিজেকে খোঁজা নয়, জীবনের বাস্তবিক মনে হলো নিজেকে তৈরি করা,