বুদ্ধিমত্তা, বিশ্বস্ততা, দায়িত্ববোধ এবং সাহসিকতা এই চারটি এমনই ঐশ্বর্য, যার সদুপযোগ ও সুনিয়োজন করে প্রত্যেক ব্যক্তিই উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পারে। বুদ্ধিমত্তা হল সৌভাগ্যের প্রবেশ দ্বার আর বোকামী হল দুর্ভাগ্যের৷
বুদ্ধিমত্তার অর্থ তাৎক্ষণিক আকর্ষণের বিষয়ে সংযত হওয়া, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা, কোন কাজের প্রতিক্রিয়া এবং তার পরিণামের স্বরূপকে বোঝা, পরিস্থিতির অনুকুল কর্মপদ্ধতির নির্ণয় এবং প্রচেষ্টা করা।
এর বিপরীতে যারা বুদ্ধিমত্তার সদব্যবহার করে না, যারা তাৎক্ষণিক প্রাপ্তিকেই অত্যধিক গুরুত্ব দেয় এবং ভবিষ্যতে তার কি পরিণাম হতে পারে সে বিষয়ে একবারও ভাবে না, পরবর্তী কালে তাদের তাড়াহুড়োর, অদূরদর্শিতার পরিণাম যখন সামনে এসে পড়ে, তখন কেবল দুঃখই ভোগ করতে হয়।
জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই নানাধরণের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় পাওয়া যায়। ছোট মাছেরা যেমন সামান্য আটা গেলার জন্য নিজেদের প্রাণ হারায়, তেমনই নির্বোধ ব্যক্তিরাও সামান্য প্রলোভনের বশবর্তী হয়ে নিজের অমূল্য জীবনকে বৃথা নষ্ট করে দেয়।
Contents List
Positive thinking in Bengali
বিশ্বস্ততাকে সাধারণ অর্থে আর্থিক লেনদেনে সততা বজায় রাখাকেই মনে করা হয়। বাস্তবে এটি কেবল এটুকুতেই সীমিত নয়। আমাদের নিজেদের প্রতি , ঈশ্বরের প্রতি, পরিবারের প্রতি এবং সমাজের প্রতিও বিশ্বস্ত থাকা উচিত।
আমরা যেন আমাদের আত্মার দরবারে মিথ্যেবাদী এবং বিশ্বাসঘাতক সাব্যস্ত না হই। অন্তর ও বাইরে যেন এক থাকতে পারি।
কোন প্রকার ছল, কপট, মিথ্যাচার এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের মধ্যে যেন প্রবেশ না করতে পারে এবং পারিবারিক দায়িত্বের প্রতি যেন কখনই অবহেলা না করি।
বিশ্বস্ততা পালন করা অত্যন্ত সহজ, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করতে হলে অনেক ছল চাতুরীর আশ্রয় নিতে হয়।
স্মরণ রাখার যোগ্য তথ্য হল, বিশ্বস্ততার সাহায্যে যে কোন ব্যক্তি প্রামাণিক ও বিশ্বস্ত হয়ে উঠতে পারে। সে প্রত্যেকের স্নেহ, সহযোগিতা এবং সম্মান লাভ করতে পারে। কোন বেইমান ব্যক্তিও আশা করে যে, তার সেবকরা যেন বিশ্বস্ত হয়।
ভগবান মানুষকে অনেক প্রকার দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রতিটি ব্যক্তিই শরীররক্ষা, পরিবার প্রতিপালন, সমাজনিষ্ঠা, এবং ঐশ্বরিক নিয়ম শৃঙ্খলা প্রতিপালনের মত কর্তব্যে বাঁধা থাকে।
দায়িত্ব পালন করার ফলেই মানুষের শৌর্য বৃদ্ধি পায়, বিশ্বাস বৃদ্ধি পায় এবং সেই বিশ্বস্ততার ভিত্তিতেই তাদের উপর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সমর্পণ করা হয়। যার ফলে তাদের জীবনে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যাবার মত সুযোগ আসে। লোকেরা তাদের আগ্রহপূর্বক আমন্ত্রণ করে এবং মাথায় করে রাখে।
প্রত্যেক বিচক্ষণ ব্যক্তির দায়িত্ব হল, তারা যে ভাবে নিজেদের শরীর এবং আর্থিক সুব্যবস্থার প্রতি খেয়াল রাখে, ঠিক একইভাবে তারা যেন নিজের প্রধান উপকরণ শরীর ও মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং সুষমতা বজায় রেখে চলে।
মানব শরীর এক ঈশ্বর প্রদত্ত সম্পদ। তাকে যদি অসংযত এবং অনিয়ন্ত্রিত না করা হয় তাহলে সারা জীবন ধরে নিরোগ থাকা যেতে পারে।
আমাদের দায়িত্ব হল, কোন চোরকে যেমন ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয় না, ঠিক তেমন ভাবেই আমাদের মস্তিষ্কেও যেন কোন প্রকারের অনুপযুক্ত চিন্তাধারা প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা।
বিচক্ষণ, বিশ্বস্ত এবং দায়িত্বশীল হবার সাথে সাথে মানুষকে সাহসীও হতে হয়। সাহসী এবং পরাক্রমী ব্যক্তিরা কখনই কাপুরুষদের মত অসাফল্যের আশঙ্কা এবং কঠিন পরিস্থিতিতে ভয়ভীত হয়ে নিজেদের কর্তব্যকে পরিত্যাগ করে না, তারা যা কিছু করার উপযুক্ত কেবল সেই কাজই করে থাকে।
যাদের নিজের উপর বিশ্বাস ও ভরসা নেই, তাদের জীবনেই নানা ধরণের বাধা বিপত্তির সৃষ্টি হয়। অনেক ব্যক্তি স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও হীনমন্যতার কবলে পড়ে নিজেকে অক্ষম ভেবে নিতে বাধ্য হয়।
তোমার কাছে যদি স্বল্প সুযোগ সুবিধাও থাকে তবুও তোমার নিষ্ঠা, সাহস ও পরিশ্রমের জোরে এমন কাজ করে দেখানোর চেষ্টা করো, যাতে সবাই অবাক হয়ে যায়।
স্মরণ রেখো, মন্দ প্রবৃত্তিগুলিকে সংঘর্ষ না করে সরানো যায় না আর সংঘর্ষের জন্য সাহস অবলম্বন করতে হয়।
কঠিন পরিস্থিতির হাত থেকে রেহাই পাবার এবং উন্নতির পথে অগ্রসর হবার জন্য সাহসই একমাত্র এমন সাথী, যাকে সাথে নিয়ে তুমি একাই দুর্গম পথে এগিয়ে গিয়ে আপন লক্ষ্যে পৌঁছাবার কাজে সফল হতে পারো।
Purify your vision bangla
মানুষ যেমন দৃষ্টিভঙ্গী রাখে এবং অপরের প্রতি যেমন মনোভাব পোষণ করে,তার চিন্তাধারাও সেই অনুসারে পরিচালিত হয় এবং ফলস্বরূপ তাকে তেমনই পরিবেশ ও পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
যারা কেবল অপরের দোষ দেখে এবং সমালোচনা করে বেড়ায়, তারা যেখানেই যাক্ না কেন, কোথাও কোনও ভাল কিছু দেখতে পায় না এবং সেখানকার লোকেদের সাথে তাদের বনিবনাও হয় না।
সবাইকে ভাল চোখে দেখার ফলে সরল ও সাত্ত্বিক স্বভাবের মানুষদের সব জায়গাতেই শুধু ভালটাই চোখে পড়ে, তারা মন্দের মধ্যেও উচ্চ আদর্শের দর্শন করে থাকে।
বাস্তবে যে ব্যক্তির নিজের মধ্যেই মন্দভাবের প্রাধান্য থাকে, তার চোখে পৃথিবীর সমস্ত কিছুই মন্দ বলে প্রতীত হয়। মানুষ নিজের ভাল কিংবা মন্দ দৃষ্টিভঙ্গীকে বাইরের পরিস্থিতির উপর আরোপ করে তাকে সে ভাবেই দেখে থাকে।
মানুষ স্বয়ং যেমন হবে, বাইরেকার পরিস্থিতিও তার কাছে তেমন ভাবেই দৃষ্টি গোচর হবে। যার কাছে সব প্রকার সুখ এবং মনোবাঞ্ছিত পরিস্থিতি রয়েছে, যার কোন কষ্ট নেই বা যে কখনও অসফল হয় নি এমন ধরণের মানুষ সারা পৃথিবীতে একজনকেও খুঁজে পাবে না।
ঈশ্বর যেখানে মানুষকে অনেক প্রকারের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছেন, একইসাথে তিনি সামান্য কিছু অভাবও রেখে দিয়েছেন।
বিবেকবান ব্যক্তিরা জীবনে উপলব্ধ সুখ সুবিধার কথাই চিন্তা করেন এবং তাদের সেই উপলব্ধিগুলির প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে ঈশ্বরকে বারংবার ধন্যবাদ জানিয়ে থাকেন।
এর বিপরীতে অনেক মানুষ এমনও থাকে যারা উপলব্ধ সুখ সুবিধাগুলিকে তুচ্ছ মনে করে এবং তাদের অল্প বিস্তর যা কিছু কষ্ট ও অভাব আছে সেগুলিকে পর্বত তুল্য মনে করে নিজেদের অত্যধিক বিপত্তিগ্রস্ত অনুভব করে। এই ধরণের মানুষদের অধিকাংশ মানসিক শক্তি কান্নাকাটিতেই নষ্ট হয়ে যায়।
জীবনকে শান্তিপূর্ণ ভাবে অতিবাহিত করার উপায় হল এই যে, নিজের অসুবিধাগুলিকে কখনই বড় করে দেখবে না বরং তারা বাস্তবে যতটা ঠিক ততটাই তাদের গুরুত্ব দেবে।
এতে আমাদের অনেক চিন্তাভাবনা অনায়াসে দূর হয়ে যায়। আমরা যেন আমাদের অসুবিধাগুলিকে বড় করে না দেখি বরং তাদের যেন অন্যান্য বিপত্তিগ্রস্ত মানুষদের সাথে তুলনা করে নিজেদের অপেক্ষাকৃত কম দুঃখী অনুভব করি।
যতদূর সম্ভব নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গীকে যেন ইতিবাচক রাখি। সুখী জীবনের আকাঙ্খা সকলেরই থাকে, কিন্তু তার উপলব্ধি করা তখনই সম্ভব, যখন আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গীতে যা কিছু ত্রুটি রয়েছে সে সব বুঝতে পারব এবং তাদের পরিশুদ্ধ করবার চেষ্টা করব।
পরিশুদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গীর সাহায্যে স্বল্প সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও জীবনে শাস্তি ও সন্তুষ্টি বহাল রাখা যায়।
Increase virtue and be cultured
সদগুণ বৃদ্ধির উপযুক্ত পথ হল, কেবল সেই বিষয়েই বিশেষ ভাবে চিন্তা ভাবনা করা, তারই উপযুক্ত পুস্তক অধ্যয়ন করা, তেমনই শোনা, তেমনই কথা বলা যা
সদগুণাবলী বাড়িয়ে তোলার কাজে নিজেদের সপ্রবৃত্তিগুলিকে উচ্চস্তরে পৌঁছে দিতে সহায়ক হয়।
সদগুণ অবলম্বন করা হলে নিজের উত্থান এবং আনন্দের পথ কতখানি প্রশস্ত হতে পারে সেই বিষয়ে নিরন্তর চিত্তন মনন করা উচিত।
নিজের মধ্যে সদ্গুণের যতখানি বীজাঙ্কুর দেখতে পাবে, যা কিছু ভাল ও সডপ্রবৃত্তি দেখতে পাবে, তাদের খোঁজ করে যাওয়া উচিত। যতটুকু পাবে তাতেই প্রসন্ন থাকা এবং তাদের যত্ন সহকারে বাড়িয়ে চলা উচিত।
ধরে নিচ্ছি যে আজ আমাদের মধ্যে সদগুণের নিতান্ত অভাব রয়েছে, যেটুকু আছে তাও যথেষ্ট দুর্বল, কিন্তু তা সত্ত্বেও আছে তো! তাদের বাড়িয়ে যাবার কথা চিন্তা করা হচ্ছে তা ও কি কম না কি?
নিজের গুণাবলীকে বিকসিত করে তোলার কাজে যত্নশীল হলে যে সম্মান লাভ করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই৷
লোকেরা কোন ব্যক্তির নয় কেবল সদগুণেরই কদর করে। মানুষের মধ্যে সদগুণের মাত্রা যতটা বিকশিত হবে, অন্যান্য মানুষরা সেই অনুপাতেই তার প্রতি আকর্ষিত হবে। ভাল কাজ সর্বত্রই প্রশংসা লাভ করে। তোমার কোন একটি গুণ সাধারণ শ্রেণীর মানুষদের চাইতে যতটা বেশী থাকবে, তুমি ততটাই অধিক যশও লাভ করবে।
তুমি যদি মানুষের গুণ দেখতে শুরু কর, কেবল তাদের গুণের বিষয়েই চর্চা কর, গুণবানদের উৎসাহিত করে যাও, তাহলে তোমার এই স্বভাব কেবল অপরের জন্যই নয় বরং তোমার নিজের জন্যেও পরম মঙ্গলময় সিদ্ধ হতে পারে।
Put away sincere weaknesses in Bengali
মানুষের দুৰ্গুণ এবং দুর্ভাবনা তাকে যতটা ব্যতিব্যস্ত করে, পৃথিবীতে কেউ হয়ত কাউকে ততটা ব্যতিব্যস্ত করে না। মানুষের দুর্গুণ রূপী শত্রু সারাক্ষণ তার পিছনে লেগে থাকে, কিছুতেই তাকে শান্তিতে থাকতে দেয় না। গুণ, কর্ম ও স্বভাবে আবশ্যক সংশোধন করা ছাড়া উন্নতি করা সম্ভব নয়।
অতএব গুণ, কর্ম ও স্বভাবকে মানবোচিত রূপে পরিস্কৃত করে ব্যক্তিত্বকে সুবিকসিত করে তোলার কাজে সংলগ্ন হওয়া চাই। দুর্ব্যবহার তা নিজের সাথেই হোক কিংবা অপরের সাথে, তার কুফল দুঃখ ও অশান্তি রূপে ভোগ করতেই হয়।
অপরের কাছে নিজের প্রতি তুমি যেমন ব্যবহার আশা করো, তুমিও যদি অপরের সাথে তেমনই আচরণ করার চেষ্টা কর তাতেই মঙ্গল৷
অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় মানুষের বুদ্ধি ও বিচার করার শক্তি অনেক বেশী, এই কারণেই সে নিজের ভাল মন্দের বিচার করতে পারে। বুদ্ধির সদব্যবহার অথবা অপব্যবহারের দ্বারাই সে সুখ শান্তি অথবা ক্লেশ ও কলহের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে থাকে।
এই বিষয়ে অন্য কারো উপর দোষারোপ করা মানুষের এক প্রকার জড়তার লক্ষণ। নিজের সুখকে নষ্ট করে দেওয়ার দায়িত্ব মানুষের নিজের উপর নির্ভর করে। এর হাত থেকে রেহাই পাবার একমাত্র উপায় হল সে যেন এই পতনোন্মুখ দুষ্প্রবৃত্তিগুলি পরিত্যাগ করে এবং সদাচারী জীবন অতিবাহিত করায় সুখ ও সন্তুষ্টি অনুভব করে।
আসুন দেখা যাক যে, কোন কোন দুষ্প্রবৃত্তি অথবা দুর্ভাবনাগুলি মানুষের জীবনে বাঁধার সৃষ্টি করে চলেছে।
- বদভ্যাস
- অহংকার এবং লোভ
- অভিমান
- অনিয়ন্ত্রিত মহত্ত্বাকাঙ্খা
- অসত্য
- স্বার্থপরতা
- ঈর্ষা
- অশ্লীলতা ও কামুকতা
- মস্তিষ্কের উদ্বেগ
- তাড়াহুড়ো এবং উতলা হওয়া
- পরদোষ দর্শন
- আত্মগ্লানি
- ক্রোধ
- প্রতিশোধের স্পৃহা
- অসন্তুষ্টি
- আলস্য
- নির্দয়তা
আমরা যদি নিজের স্বভাবের ত্রুটিগুলিকে নিরীক্ষণ করে, তাদের সংশোধনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই তাহলে জীবনের তিন চতুর্থাংশের অধিক সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিক হয়ে যেতে পারে। এই কাজ আমাদের স্বয়ংকেই করতে হবে। আমরা স্বয়ং নিজেদের উদ্ধার করতে পারি, অন্য কেউ নয়। এই কথাটি মনে গেঁথে রাখা দরকার।
মহাত্মা ইমার্সন বলতেন, ‘আমাকে যদি নরকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়, সেখানেও আমি আমার জন্য স্বর্গ তৈরী করে নেব।’
তাঁর এই ধরণের দাবীর ভিত্তি হল, মানুষ যদি নিজের অন্তঃকরণকে পরিষ্কৃত করে নিতে পারে, তাহলে তেমনই বোধ, জ্ঞান, গুণ, কর্ম ও স্বভাবের উৎপত্তি হয়ে যায়, যার সাহায্যে অত্যস্ত খারাপ ব্যক্তিদেরও নিজের সজ্জনতার মাধ্যমে প্রভাবিত করা যায়।
এবং তাদের মন্দ স্বভাবের প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করার মত বিশেষ ক্ষমতা উৎপন্ন হতে পারে।
এই বিশেষত্ব যদি কোন ব্যক্তি নিজের মধ্যে উৎপন্ন করে নিতে পারে, তাহলে মেনে নিতে হবে যে সারা পৃথিবীকে সে সংশোধিত করতে পেরেছে।