সেরা কিছু দেশাত্মবোধক কবিতা ( Bengali: Patriotic Poem) দেশপ্রেমের ছন্দ সমগ্র Patriotism Ideas 2023.
সংগ্রামী মানুষের জীবন ও জীবিকার লড়াইয়ে দেশাত্মবোধক গান অন্যতম প্রেরণার উৎস, মানুষের প্রতি নির্যাতন বঞ্চনা দেখে, কবিদের মনে যে দ্বন্দ্ব ও সমাহার জেগে ওঠে সেই ভাষায় এক সময় কবিতা ও গান হয়ে ধরা পড়ে,
সারাবিশ্ব জুড়ে আমাদের আত্মীয়তা ভারতের মর্মবাণী, আমাদের শাশ্বত গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য আমাদের গর্ব, স্বাধীনতা শান্তি প্রগতি আমাদের লক্ষ্য, আমাদের সম্পদ গণতন্ত্র আর এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাই কিছু বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি, সেই শক্তিকে পরাভূত করতে যুগে যুগে কবিরদে কলমে ফুটে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক কবিতা ও গান,
দেশপ্রেম ও রাজনীতি দুটি ভিন্ন অর্থ ব্যাঙ্গোক শব্দ, প্রেমহীন রাজনীতি দেশ ও দশের পক্ষে যেমন বেদনা দায়ক তেমন দুর্ভাগ্য জনক, স্বাধীনতা আমাদের জন্মগত অধিকার, দেশ বিভাগের বিনিময় স্বাধীনতা রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা,
সোনা ঝরা সূর্যের রঙে রাঙানো আকাশ আমাদের আকাঙ্খিত স্বপ্ন, ঝর্না ধরার বন্যায় হৃদয়ের বদ্ধ দুয়ার খোলার পার্থিত বাসনা আমাদের, নতুন জীবনের সন্ধানে ছন্দিত প্রাণের জোয়ারে ভেসে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন কবিগণ,
1958 সালের কথা, দেশ বিভাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এলো, স্বাধীনতার বিয়স তখন এক দশক, ছিন্নমূল মানুষের হাহাকারে আকাশ বাতাস পরিব্যক্ত, আলোর জোছনা ও আশার মোহনা তখন অনেক দূর, তবুও এই আশাহীন মানুষের কাছে কবি দেশাত্মবোধক কবিতার মাধ্যমে আবেদন রেখেছিলে “এদেশ মোদের আয় গড়ি, আলোয় আকাশ আয় ভরি, আয়রে সবে হাত ধরি সাধের সাধনায়”.
Patriotic Poem In Bengali Language
1. রাঙা মাটি মাখবো বলে শহর থেকেই নিরুদ্দেশ
এই পথেই তোমার আমার দেখা হিয়েছিলো শেষ
শহর দেশে বুনো গন্ধ পাবার যতো রাস্তা বন্ধ
সবুজ অরণ্য ডাকছে তাই তোমার আমার দেশ
স্নেহ মাখা দিনের কতো সকাল সন্ধ্যা শত শত
মায়ের মুখে ঘুম পারানি কবিতার নেই কোনো শেষ
হাত ছানি দেয় নদীর মতন শারি গানের ঢেউয়ের নাচন
ফেলে আসা আলোর দেশের সোনালী আবেশ
স্বাধীনতা ঘুড়ি উড়ায় আকাশ পাড়ের ওই সীমানায়
সুতোর টানে প্রানেরি গান তোমার আমার দেশ
কাজের মাঝে বারে বারে সেথায় যেতে ইচ্ছে করে
মনের গাঙে ময়ূর পঙ্খি ছড়ায় মধুর আবেশ
দেশের ভাষা দেশের মাটি দাওয়ায় পাতা শীতল পাটি
চাতক দেখি বরষা স্বপন পলক অনিমেষ
শান্তি ডানায় ডাকে পাখি ভোর হলো রাত নেই আর বাকি
বলছে রাত আঁধার ভাঙো যুদ্ধ হলো শেষ
মৃত্যু নিশান নয়গো বন্ধু বুকে ভালোবাসার সিন্ধু
ডাকছে যে ডাক আকাশ ভাঙ্গা তোমার আমার দেশ
ওগো বন্ধু মনের কথা ভালোবাসার এই কবিতা
বাঁধবে কানে এই বার্তা এক তারার রেশ
ও বন্ধু এই তোমার দেশ এই আমার দেশ
2. আমি ভালোবাসার সুরে গান গাই
চাওয়া বলতে শুধু এই টাই
বন্দুক ফেলে দিয়ে বন্ধুর হাত ধরা
শির দাঁড়া টান দিতে হৃদয়ের গান করা
3. ওই দেখা যায় ভাবিকালের নদী
যার পাড়েতে ভালোবাসার ঢল
মানুষ জনের আশায় নিরবধি
পরকে আপন করার অবসর
করিম চাচা দুগ্গা ঠাকুর গড়ে
বামুন দিদি পীরের দরবারে
কপাল ক্রমে রক্ত লালী ঝরে
বায়োস কোকিল একসাথে গান গায়
গুরুদ্বারে রহিম রাম আর টম
কলজে খুলে শ্বেত পতাকা বয়
ঘণ্টা বাজে গির্জাতে ওই ঔঁম
মিলছে সবাই এইতো সম্বনয়
অস্ত্র শস্ত্র সমুদ্রুই খেলো
বারুদ গন্ধ মুছলো সুবাতাস
চাতক জলে টইটুম্বুর হলো
হাসলো মাটি অন্ন বস্ত্র আকাশ
তুমি আর আমি হাঁটছি নিশ্চিন্ত
যুদ্ধ নাকি ব্যাকরণের বাইরে
শান্তি সবুজ মাঠ খোলা দিগন্ত
পরকে আপন করা মানা নাইরে
4. কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের দেশ এই ভারতবর্ষ, পটভূমিকায় সুনীল আকাশ, সেই আকাশে ডানা মেলে উড়ে যায় শান্তির শ্বেত পারাবত, মাঠে মাঠে দোল খায় সোনালী ফসল, কল কারখানায় যান্ত্রিক যন্ত্র প্রমাণ করে আমাদের কর্ম প্রয়াস, আমাদের অগ্রগতির ছন্দকে অশুভ শক্তি বার বার ছিন্ন ভিন্ন করতে চায়, কিন্তু আমরা এক অভেদ্য অটুট, আমরা এক মায়ের সন্তান ভারতবাসী,
5. জেনেছি আমি গুরু গ্রন্থ গীতা
বাইবেল আর কোরআন
একি মাটিতে আর একি মমতায়
সবটাই মহান হিন্দুস্তান
আমি প্রমাণ জানাই তাদের
যারা ছড়িয়ে আছে পৃথিবীতে
রয়েছে সাথে সাথে সুখেতে দুখেতে
হিন্দু শিখ মুসলিম আর বৈধ্য জৈন
নয় যে কেউ তারা ভিন্ন
এক বুকেতে বাঁচি আমরা স্বপ্ন হাজার
মনে মন মেলাতে ভালোবাসা পারাপার
কতদিন চলবে আর বারুদের এই খেলা
আগামীর স্বপ্নকে ভেঙ্গনা এই বেলা
প্রেমের প্রতিদান দেবো ভালোবাসায়
ঘৃণার প্রতিদান জানি দিতে ঘৃণায়
6. পল্লী বাংলায় মন বারে বারে ফিরতে চাই, অজানা কতো ফুল আর সবুজ ঘাসের মাঝে গ্রামের মানুষের চেনা হাসি আর মায়ের স্নেহ মমতায়, প্রাণ জুড়াতে চাই,
7. এই সবুজ ছায়া ঘেরা শান্ত নীরে
আমি আবার আসতে চাই ফিরে
ভোরের আকাশ হেথায় আবির ছড়ায়
মায়ের মধুর ডাকে ঘুম ভেঙে যায়
আঁধারের অবসানে পাখিদের কলতানে
এখানে সবুজ ঘাস ফুলের রাশি
রয়েছে মায়ের স্নেহ বোনের হাসি
এখানে ঠাকুমা গল্পঃ শোনায়
শিশু রয় মায়ের কোলে কতো মমতায়
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে
বধূরা প্রদীপ জ্বালে
আকাশ বাতাস রয় ভরে
শোনা যায় শঙ্খধ্বনি সুখের নীরে
কতো হাসি আলো আশা
শত সুখ ভালোবাসা
চিরদিন থাকে হেথা জীবন জুড়ে
বারে বারে আসতে চাই আমি
এই ভারত মাতার কোলে ফিরে
8. শস্য শ্যামলা বাংলা শীতল জল স্নিগ্ধ বাতাস প্রাণ জুড়ায়, এখানেই শত মানুষের মহামিলন ক্ষেত্র, এই মাটিতেই সোনার ফসল ফলে, এখানেই মানুষ তার নিজের অজান্তেই আপন মনে দেবতা হয়ে ওঠে,
9. দিকে দিকে ধ্বনি ওঠে জয় ভারতের জয়
একশো বছর পরে ভারতের পরিবর্তন হয়
এই বদলের নেপথ্যে যারা ছিলেন
তাদের রক্তের দাম কখনো কম নয়
তিরঙ্গা পতাকাকে জানাই সেলাম
শহিদ তোমরা নিও আজ শত প্রণাম
স্বাধীনতার জন্য দিয়েছো অগুন্তি জীবন
ক্ষুদিরাম আজাদ শেখর প্রফুল্ল ভগৎ
তোমাদের কণ্ঠে কেপে উঠে ছিলো গগন
অমর তোমরা যুগ যুগ ধরে ভারতের বুকে
রেখেছ মোদের মায়ের কোলে মহানন্দ সুখে
রাখবো ভারত মাথায় তুলে কখনো দেবনা হতে নিচু
জীবন যদি দিতে হয় দেবো হাঁটবোনা কভু পিছু
10. এই যে ধূলো এই যে মাটি খাঁটি সোনার চেয়েও খাটি
এইতো আমার সোনার স্বদেশ স্বপ্ন পরিপাটী
বীর ক্ষুদিরাম বিনিয় বাদল বীর সুভাষ ঋষি
স্বপ্ন ভাঙার বেদনাতে দুচোখে জল আসে
কেনো অভাব অনটনে আজও মানুষ কাঁদে
সময় যেনো বন্দী এখন যন্ত্রণার ফাঁদে
সাত দশকের স্বাধীনতা কি আশা জাগালো
এদেশ তোমার আমার সবার এই কথাটি বলো
বিভেদ বিষের কি যন্ত্রণা আমরা ভালই বুঝি
মিলন মালায় গাঁথতে জীবন প্রেমের সুরও খুঁজি
লোভে পাপে ঘৃণায় শুধু বারে যে যন্ত্রণা
দলিত বর্ণের অহংকারে কেনো তা বোঝনা
11. এদেশের দিকে চেয়ে দেখো সম্য মৈত্রী কতো কাছাকাছি
সংহতি বলে বেশ সুখে আছি শান্তির গান গায় মৌমাছি
মাঠে মাঠে দোল খায় সোনার ফসল ধান ভরা গোলা খামারে
চিমনিতে ধোঁয়া যন্ত্র মুখর কাজ শুধু কাজ চারিধারে
জাতিতে ও ধর্মে বহু ভাষা ভাষীতে নেই কোনো বাছাবাছি
কোটি কোটি চোখে একি সপ্নের ভির ছায়া সুনিবিড় শান্তি ছাওয়া
শত সুখে মিলে মিশে বাঁচার তৃষা এর বেশি নেই কিছু চাওয়া
নানা মত নানাপথ কর্ম তবু একি সে স্বপ্নে ভরা
মহামিলনের এই একটি সেতু এর উপরেই বাঁচা মরা
12. এখনো কাঁদছে মানুষ পৃথিবীর দেশে দেশে,
ভাঙ্গা স্বপ্নেরা এখনো চাইছে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে,
ভলগার জল এখনো প্রতিনিয়ত ভাগীরথীর জলে মেশে,
ইতিহাস দিলো পথনির্দেশ পারি কি সেকথা ভুলতে
সূর্য কখনো অস্ত যায় না রাত শুধু তাকে ঢেকে দেয়
আমরা ভোরের প্রত্যাশী তাই ভোর শুধু ডাক দিয়ে যায়