আপনার শরীরে কি রক্তের ঘাটতি আছে, উঠতে বসতে হাড়ের মধ্যে শব্দ সৃষ্টি হয়, খাবার পর কি পেটে অ্যাসিডিটি হয়, এবং দীর্ঘদিন ধরে কি মাইগ্রেনে এর সমস্যায় ভুগছেন? যদি আপনি এই সকল সমস্যা ও রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আজকের এই পোষ্ট টি আপনার জন্য, কারণ এখানে আপনি জেনে নিতে পারবেন বিটের নানাবিধ গুণাবলী,
বিটের উপকারিতা
এই পোস্টটির মধ্যেমে আপনি জানতে পারবেন উপরিক্তি সমস্যা গুলোর সমাধান এবং এছারাও আরোও বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্বন্ধে, কেবল মাত্র বীট পালং ব্যবহার করে,
এই বটি বা বীট-পালং যেটাকে আমরা প্রাই সময়েই সব্জির দোকানে দেখে ভ্রু কুঁচকে মুখ ফিরিয়ে অবজ্ঞা করে চলে আসি, কেনোনা এর উপকারীতা সম্পর্কে আমরা সেভাবে অবগত নই,
বিটের ব্যবহার অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুব কমই করা হয়ে থাকে, মাঝে মধ্যে স্যালাড বা কোনো কোনো সময় দু একটা তরী তরকারিতে ব্যবহার হয়ে থাকে, যদি বিট প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে এটি বহুগুনে উপকার সাধনে সক্ষম,
প্রতিনিয়ত বিট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার সাথে এটি চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া বন্ধ করে,
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বটি বা বীট-পালং এর উপকারিতা, ব্যবহার ও গুনাগুণ সম্পর্কে,
বিট পালং হলো একটি মূল তাই এটিকে বিট রুট বলেও অভিহিত করা হয়, কেননা মাটির ভিতরে উৎপন্ন হয়, অনেক ক্ষেত্রে আমরা এর রঙ দেখে এটি খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না, যদি বিটের গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে ও বৈজ্ঞানিকভাবে এর কার্যকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অবগত হই তাহলে আমরা জানতে পারি,
1. বিটের মধ্যে থাকে অতিরিক্ত মাত্রায় আয়রন থাকে যার কারণে শরীরে আপনার হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, এর যদি কোনো কারণে রক্ত অ্যাসিডিক হয়ে যায় অর্থাৎ যদি রক্তের মধ্যে টক্সিন প্রবেশ করে তাহলে তা অপসারণ করতে বিট দারুন ভাবে কাজ করে,
2. বিটের সবচেয়ে বড়ো কাজ হলো ডিটক্সিফিকেশন করা, ডিটক্সিফিকেশন এক এমন প্রসেসে যদি আমরা এটি কোনো খাবারের মাধ্যমে করে নিতে পারি তাহলে আমাদের শরীরে অনেক প্রকার ইতিবাচক পরিবর্তন আসে, আর এই পরিবর্তনের ফলে দেহ অনেক সুস্থ, সবল, ও হেলদি থাকে,
3. এছাড়াও বিটের মধ্যে ভিটামিন B6, B12, এবং ম্যাগনেসিয়াম বেশি মাত্রায় থাকার ফলে ত্বক, চোখ, ও চুল, ঠোঁট এর জন্য বিট খুবই উপকারী,
4. বিট ফল খাওয়ার নিয়ম: এখন জানবো কতো টা পরিমাণ বিট খাওয়া দরকার,
একজন 50 কিলো ওজনের ব্যাক্তির 50 গ্রাম বিট খাওয়া দরকার, অর্থাৎ 1 কিলো পরিমাণ ওজন অনুযায়ী 1 গ্রাম বিট সেবন করতে হবে, এই নিয়মটি বাচ্চা থেকে বয়স্কো সবার ক্ষেত্রে একই, যেমন যদি আপনার শরীরে ওজন 90 কেজি হয় তাহলে আপনাকে 90 গ্রাম বিট সেবন করতে হবে,
5. বিট খাওয়ার সঠিক সময় হলো 10 টা থেকে 1 টা এর মধ্যে, এটা দুপুরে খাবার খাবার সময় স্যালাড হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে,
সকালে ব্রেকফাস্টের পরে অনেকের খিদে আসে, তাহলে 11 টার সময় এটি সেবন করা যেতে পারে, অনেকে আছেন ওজন বৃদ্ধি হয়ে যাওয়ার ভয়ে এই সময় এর খাবার বাদ দিয়ে দেন, তাদের জন্য এই সময়টি বিট খাওয়ার জন্য উপকারী,
যদি শুধু কাঁচা বিট খেতে ভালো না লাগে তাহলে এর সাথে অল্প লবণ, কালো মরিচ, জিরা ও লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন এতে এর সুস্বাদু বৃদ্ধি পাবে, এবং খতেও ভালো লাগবে,
6. বিট পালং শুধু কাঁচাই যে খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই, অনেকে বলেন কাঁচা বিট খাওয়ার ফলে তাদের গলার মধ্যে অসস্থি বোধ হয়, এবং গলার মধ্যে কাটা বেধার মতো অনুভব হয়, যদি কাঁচা বিট খেতে কোনো রকম অসুবিধা হয় তাহলে এটি বিভিন্ন তরিতরকারি বা রান্নার সাথে এবং বিটকে সিদ্ধ করেও খেতে পারেন, এর ফলে এটি নরম ও মোলায়ম হয়ে যায় সহজেই খাওয়া যায় এবং গলার মধ্যে কোনো রকম অসুবিধা হয় না,
7. যদি তরিতরকারি ও সিদ্ধ করেও না খেতে ভালো লাগে তাহলে বিটের আচার তৈরি করেও খাওয়া যায়, বিট ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে এর সাথে শর্ষে বাটা, লবণ, কাঁচা লঙ্কা এবং আপনার পছন্দের মতো অন্যান্য ভেসজ মশলা মিশিয়ে তিন চার দিন রোদ্দুরে রাখে দিন, এবাভে করার ফলে একটি সুস্বাদু বিটের আচার তৈরি হয়ে যাবে, যেটি আপনি প্রতিদিন খাবার তালিকায় যুক্ত করে নিতে পারেন,
8. বিটের জুসের উপকারিতা: বিটের জুস করেও খাওয়া যায়, এটি করার জন্য ভালো করে পিষে নিতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যে পাত্রে বা গাইন্ডার মেশিন পেশা হয় তাতে এর রঙ তোলা খুব অসুবিধা কর হয়ে ওঠে, যদি আপনি জুস করে খতে চান তাহলে ছাল না ছাড়িয়ে পিষে নিতে পারেন, কারণ এতে যে ফাইভার থাকে তা শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকর, এর ফাইভার ডাইজেস্ট সিস্টেম কে স্ট্রং করতে সহায়তা করে,