জেনে নিন কি ভাবে ওজন বৃদ্ধি করা যায় এবং মোটা হবার কিছু সহজ উপায় ও তার খাদ্য তালিকা সম্বন্ধে নতুন হেলথ টিপস।
শরীরের ওজন না বৃদ্ধি পাওয়া এক এমন সমস্যা, যার কারণে বেশিরভাগ লোকই অসন্তোষ ভোগ করেন, আর হবেই না বা কেনো, ওজন কম হওয়ার ফলে একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং নিজের শরীর বিষয়ে মনে তৃপ্তি কমে আসে,
তাই শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার বিভিন্ন জন নানান প্রকার উপায় ও টিপস অবলম্বন করে থাকেন, তার মধ্যে কিছু টিপস কাজ করে আবার অনেক সময় কাজ করে না, এছাড়াও অনেক বলেন খাই তো অনেক কিন্তু ওজন কিছুতেই বাড়ছে না,
এরকম পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ, ওজোন বাড়ানোর চেষ্টা কি ছেড়ে দেয়া দরকার ? উত্তর হলো না, এর জন্য কি করলে ওজন খুব দ্রুত বাড়বে এবং স্বাস্থ্য হেলদি থাকবে, সে বিষয়ে আপনি সমস্থ প্রকার টিপস ও উপায় এখানে পেয়ে যাবেন, যেটা করতে হবে তা হলো এই উপায় গুলো নিয়মিতভাবে আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে হবে,
Weight Gain Tips in Bengali
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ওজন বাড়ানোর সঠিক ও সহজ উপায় গুলো, প্রথমে আমরা জানবো শরীরের ওজন না বাড়ার কারণ
১. মেটাবোলিজম এবং পাচন তন্ত্র যদি খাবার সঠিক ভাবে ডাইজেস্ বা হজম পক্রিয়ায় সহায়তা না করতে পারে তবে ওজন বৃদ্ধি হতে বাঁধা প্রাপ্ত হয়, এর ফলে খাবারের পুষ্টি শরীরে সঠিক ভাবে কাজে লাগে না তাই শরীর ওজন বৃদ্ধি হতে পরে না,
২. যদি কোনো খাবার খাওয়ার ডিসঅর্ডার (ব্যাধি) থাকে তাহলেও ওজন বাড়তে সমস্যা দেখা দিতে পারে
৩. শরীরের হরমোন যেমন পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন এর অভাবেও শরীরের ওজন কম হয়ে থাকে, শরীরের গ্রোথ এর জন্য হরমোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে,
৪. জেনেটিক কারণ যেমন বংশানুক্রমে পিতা ও পিতামহ রোগা হয়ে থাকে তাহলেও অনেক সময় দেখা যায় বর্তমান জেনেটিক এ তার প্রভাব পড়তে,
৫. যদি প্রজাতিগত ভাবে কোনো মানসিক ও শারীরিক ব্যাধি থাকে তবে ওজন কম হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়,
এতো গেলো ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ ও উপলক্ষ, এবার মূল বিষয় সম্পর্কে আমরা জেনে নেবো দেহের ওজন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে,
১. সঠিক আহার ও খাদ্যাভ্যাস.
২. পরিপূরক – supplement.
৩. ব্যায়াম – exercise.
৪. সুস্থ অভ্যাস – healthy habits.
৫. কি কি করবেন না, things not to do.
• আহার ও খাদ্যাভ্যাস:
দিনে তিন থেকে চার বার পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, দুধের সাথে কলা ও খেজুর এটিও ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে, সকালে অঙ্কুরিত সবজি অঙ্কুরিত শস্য বা ছোলা এবং এছাড়াও ডিম খেতে পারেন, এগুলো শরীরে প্রোটিনের অভাব পূরণ করে,
দুধ ওজন বাড়াতে খুব কার্যকরী কারণ এটি মিনারেল ও ভিটামিন থাকে, এবং চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পনির, ডিম, মাছ, দেশি ঘী, প্রভৃতি এই জাতীয় খাদ্য দ্রব্য গুলো খাবারের তালিকায় যুক্ত করুন,
প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গুলো মাংসপেশি গ্রোথ করে তাই শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করা খুবই জরুরি, যদি আপনার ওজন ৫০ কেজি হয় তবে প্রতিদিন ৫০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা যেতে পারে,
এর সাথে সাথে হাড় এর পুষ্ঠির জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার দ্রব্য গুলোও সেবন করতে হবে, যেমন সোয়াবিন, কাঠ বাদাম, তিল, ডিম, ঢেরস, চিংড়ি, খেজুর, শাক সবজি, ইত্যাদি.
এবং হেলদি ফ্যাটস, কার্বোহাইড্রেট, ফাইভার, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস জাতীয় খাবার দ্রুত ওজন বাড়াতে সহায়তা করে,
• পরিপূরক – supplement
বর্তমানে ওজন বাড়াতে বিভিন্ন ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট বাজারে পাওয়া যায় এগুলো কোনো ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা যেতে পারে, শরীর অনুযায়ী অনেক ডাক্তার এই সাপ্লিমেন্ট গুলো নেয়ার কথা বলে থাকেন,
• শরীর চর্চা – exercise.
ওজন বাড়ানোর সাথে সাথে সুস্বাস্থ্য ও খুব জরুরি, আর এর জন্য প্রতিদিন ব্যামাম ও শরীর চর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম, যোগ, প্রাণায়াম, আসন অভ্যাসে র ফলে শরীর ও মন দুই প্রাণোচ্ছল থাকে,
• পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশ অপরিহার্য, তাই নীয়ম অনুযায়ী ঘুম ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে,
• চিন্তা কম করা
চিন্তা ও ট্রেস এমন এক জিনিস যা শরীরের সাথে সাথে মনের উপরও এর প্রভাব পড়ে, আর মন ভালো থাকলে শরীরও ভালো থাকে না, তাই এমন কিছু অবাঞ্ছিত চিন্তা আছে যেগুলোকে বাদ দিতে হবে, যদি কোনো মানুষ মানসিক ভাবে অসুস্থ থাকে তাহলে তার পক্ষে ওজন বৃদ্ধি পায় না,
চা এবং কফি বেশি পান করা থেকে এড়িয়ে চলুন, এই জাতীয় পানীয় বেশি পান করার ফলে ক্ষুদা মন্দা রোগ দেখা দেয়, যে পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য খাওয়া প্রয়োজন হয় সে পরিমাণ খাবার খাওয়া যায় না, দিনে বেশি বার চা এবং কফি পান করলে, দেহের ওজন বৃদ্ধি হবে না,